গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী মডেল কলেজের বর্তমান এডহক কমিটিতে ভুয়া সদস্য বানিয়ে কমিটি অনুমোদনে অনিয়মের তদন্ত হচ্ছে আজ । জানা যায়, উদাখালী মডেল কলেজের বর্তমান এডহক কমিটিতে একমাত্র অভিভাবক সদস্য হিসেবে অধ্যক্ষ এনামূল হক তার আপন ভায়রা ভাই মোঃ মাহবুবর রহমান এর নাম ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মনোনয়ন নিয়ে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদন গ্রহণ করেন। অথচ উক্ত অভিভাবক সদস্যের কোন সন্তান উদাখালী মডেল কলেজে অধ্যয়ন করে না বা ইতোপূর্বে করেনি। কলেজে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর অবিভাবক থাকা সত্ত্বেও কলেজের অধ্যক্ষ তার মন মতো একটি পকেট কমিটি গঠন করতেই নিজের ভায়রা ভাইকে ভুয়া অভিভাবক সাজিয়ে মনোনয়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট নাম প্রস্তাব করেন। এ অনিয়মের বিষয়ে কলেজ কমিটির সাবেক দুই সদস্য মোঃ মোহেবুল্যাহ সরকার ও মোঃ শফিউল করিম সরকার ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আজ রবিবার ২৮ আগষ্ট/২২ বেলা ১১ ঘটিকায় অনিয়মের সরে জমিনে তদন্ত করতে যাচ্ছেন।
প্রকাশ থাকে যে, ২০১০ সালে অবৈধ পন্থায় নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ঘোষণা পূর্বক উদাখালী মডেল কলেজের দায়িত্ব নেন এনামুল হক। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ক্ষমতা পেয়েই তিনি ছাত্রী উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করতে থাকেন। এ বিষয়ে কলেজের তৎকালীন সভাপতি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রেবেকা সুলতানা তদন্ত করেন। তদন্তে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ভূয়া ছাত্রী দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আরও অভিযোগ আছে যে, এ রকম নানান অনিয়ম ও দূর্নীতি করেও বিভিন্ন কায়দায় ধামাচাপা দিয়ে অধ্যক্ষের পদে বহাল তবিয়তে আছেন এনামুল হক।
All Rights Reserved © 2022 Gaibandha Report