গাইবান্ধা জেলায় রাসায়নিক সারের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ ও পরিবেশকদের কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন গাইবান্ধা ইউনিট। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া স্বারকলিপি বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমানের হাতে তুলে দেন তারা।
সার পরিবেশক (ডিলার) স্বারকলিপিতে উল্লেখ করেন, চলতি বছরে জেলায় ৯৯ হাজার ৮৬০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৮ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন। চাহিদার ঘাটতি ৪১ হাজার ৩৮ মেট্রিকটন। টিএসপি সারের ৩১ হাজার ৮৩১ মেট্রিক টন চাহিদা, বরাদ্দ হয়েছে ১৪ হাজার ৮৪৪ মেট্রিকটন। ঘাটতি রয়েছে ১৬ হাজার ৯৮৭ মেট্রিক টন। ডিএপি ৫১ হাজার ৪৬৮ মেট্রিক টন সারের বিপরীতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৬ হাজার ৫১২ মেট্রিক টন সার। ঘাটতি রয়েছে ২৪ হাজার ৯৫৬ মেট্রিক টন। এমওপি ৫৭ হাজার ৪৯৫ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ হয়েছে ১৬ হাজার ৬৯৭ মেট্রিক টন। ঘাটতি রয়েছে ৪০ হাজার ৭৯৮ মেট্রিক টন।
ডিলারদের দাবি, জেলার ১১১জন সার পরিবেশক সুষ্ঠুভাবে সার সরবরাহ ও বিতারণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও জেলার বিভিন্ন আবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত সারের চাহিদা কৃষক পর্যায়ে বেড়ে গেছে। বর্তমানে পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া, কর্মচারির বেতনভাতা, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ সকল খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরেও সার ডিলারগণ সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠ, সুন্দর ভাবে সার সরবরাহ করে আসছে।
সার ব্যবসায়ীদের দাবি, জেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে যে পরিমাণ রাসায়নিক সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা চাহিদার বিপরীতে অনেক কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি বস্তা সারের পরিবহন খরচসহ কমিশন পান ১০০ টাকা। প্রতি বস্তা সারের কমিশন বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করার দাবি জানান সার ব্যবসায়ীরা।
স্মারকলিপি প্রদানকালে সার ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি সুদেব কুমার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম রিপন প্রমুখ।