মোঃ রিফাতুন্নবী রিফাত
গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম কোমরনই এলাকায় সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ, দৃষ্টিজুড়ে হলুদের অপার সৌন্দর্যের সমারোহ। ভোরে সরিষা ক্ষেতের ওপর ভেসে থাকা কুয়াশা সকালবেলার প্রকৃতি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সরিষার ভালো ফলন নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
সরোজমিনে শনিবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় সরিষার সবুজ গাছের ফুল গুলো শীতের সোনাঝরা রোদে যেন ঝিকিমিকি করছে। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দমের দৃশ্য। দেখে যেন মনে হচ্ছে প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদদ বরণ মেখে। মৌমাছির গুন গুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক যুগ থেকে আরেক ফুলে পদার্পণ এ অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর এ মুহূর্ত। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারি সারি মাঠ জুড়ে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের বিনোদন প্রেমিরা। সরিষা ক্ষেত ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
কথা হয় সদর উপজেলার পশ্চিম-কোমরনই এলাকার ফাহিম, রোজ ও আলিফের সঙ্গে, তারা বলেন, সরিষা ফুল ফোটার পরেই আমরা প্রতিদিনেই বিকেলে আসি জমিতে। জমির আইল দিয়ে হেঁটে বেড়াই আর খেলা করি। খুবই ভালো আমাদের সবারই। তাই এ সময় টা খুবই চমৎকার কাটছে আমাদের।
সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের পশ্চিম-কোমরনই এলাকার কৃষক আবু হোসেন (৪৫) বলেন, গতবছর থেকে এবছর সরিষা বুনছি কম। সরিষা আবাদে খরচ অনেক কম কিন্তু দাম যদি একটু হয় তাহলে আমাদের একটু ভাল হবে।
একই এলাকার সরিষা চাষি রাশেদ আলম (৩০) জানান, বিগদ বছরের থেকে এবছর একটু বেশি ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলে ফলন ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা কৃষি উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিনের সঙ্গে গাইবান্ধা রির্পোটের কথা হলে তিনি জানান, জেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে এর মধ্যে ৩ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। তবে এখনো ধান কাটা শেষ হয়নি। ধান কাটা শেষে সরিষা আবাদের এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা করছি। সরিষা আবাদের ব্যাপারে কৃষককে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।