গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ৩ টি ব্লকে এ বছর প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার সরিষার আবাদ হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিস। জানা যায়, এ বছর চন্দিয়া ঘোলদহ ও কঞ্চিপাড়া ব্লকে হেক্টর জমিতে বারী – ১৪, বারী -১৭, স্থানীয় জাতের সরিষা আবাদ হয়েছে। আবাদকৃত জমিতে সরিষার সম্ভব্য উৎপাদন ধরা হয়েছিল৷ প্রতি হেক্টর ১ মেঃটন
এ উপলক্ষে বুধবার ( ২২ ই ফেব্রয়ারী) দুপুরে চন্দিয়া ব্লক গ্রামে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ” তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প ” এর আওতায় মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য তেলবীজ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি
এসময় মাঠ পযার্য়ের কৃষকদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ-পরিচালক,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মোঃ বেলাল হোসেন বলেন,
সোয়াবিনের নামে আমরা কি খাচ্ছি৷? এক জাতীয় পামওয়েল কেমিক্যাল খাচ্ছি , যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই তো সামান্য কিছুতে মানুষ হার্ড এট্রাক ট্রোক, এবং গ্যাসের সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ আক্রান্ত হচ্ছে । ভোজ্য তেলের আমদানী কমাতে এবং শরীর সুস্থ্য রাখতে আমাদেরকে সরিষার আবার বাড়াতে হবে এবং সরিষার তেল খাবার অভ্যাস করতে হবে তবেই আমরা আগেকার দিনের মতো সুস্থ থাকবো। তাই বলে ধানের আবাদ বন্ধ করা যাবে না।
কৃষকদেরকে ও একই জমিতে একাধিক ফসল করতে হবে তবেই দেশ হবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরিষার আবাদ বাড়ালে ভোজ্য তেল আর আমদানি করতে হবে। আর সেটা সম্ভব সরিষার চাষের মাধ্যমেই একমাত্র সরিষা চাষ করে এ ভোজ্য তেল আমদানি কমানো যাবে। সঠিক সময়ে বীজ বপন এবং পরিচর্যা করলে এর ফলন বেশি পাবে। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন , মনিটরিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ অতিথি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সোহেল রানা শালু , ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসায়, মোঃ মিন্টু মিয়া, নিপুণ দেপনাথ, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম চাষী মতিয়ার